অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অন্তত ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র—এমন তথ্য উঠে এসেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে। শুক্রবার (১৬ মে) প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ পাঁচটি সূত্রের বরাতে বিষয়টি জানানো হয়।
সূত্রগুলোর দাবি, গাজার এসব বাসিন্দা যেন লিবিয়ায় গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেন, সেজন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাব হিসেবে দেওয়া হয়েছে—২০১১ সাল থেকে জব্দ করে রাখা লিবিয়ার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ফেরত দেওয়া হতে পারে। বিনিময়ে গাজার উদ্বাস্তুদের জায়গা করে দিতে হবে লিবিয়াকে।
এছাড়া গাজার মানুষদের উৎসাহিত করতে দেওয়া হতে পারে অর্থসহ নানা সুযোগ-সুবিধা। প্রাথমিক পরিকল্পনায় রয়েছে—বিনামূল্যে বাড়ি দেওয়া, আর্থিক ভাতা প্রদানসহ পুনর্বাসনের অন্যান্য সুবিধা।
তবে এই বিষয়ে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছে তিনটি সূত্র। আলোচনায় ইসরায়েলকেও যুক্ত রাখা হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে এক মার্কিন মুখপাত্র এনবিসিকে বলেছেন, এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নয়, এমনকি কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনাও হয়নি।
অপরদিকে হামাসের পক্ষ থেকেও এই পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। গাজা ভিত্তিক এই স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর জ্যেষ্ঠ নেতা বাসিম নাঈম বলেন, “ফিলিস্তিনিরা তাদের মাতৃভূমি ছেড়ে কোথাও যাবে না। প্রয়োজনে আরও ত্যাগ স্বীকার করেই নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করবে তারা।”
তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে তারাই। বাইরের কেউ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারবে না।”
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই অস্থিরতা চলছে লিবিয়ায়। বর্তমানে দেশটিতে দুটি পৃথক সরকার বিদ্যমান। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েই তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।